ক্রমাগত স্বাস্থ্যের
অবনতি হচ্ছে খালেদা জিয়ার। যে কোনও মুহূর্তে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হতে পারেন দলনেত্রী। এমনটাই দাবি করল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এমনকী খালেদার বিরুদ্ধে চক্রান্তের ইঙ্গিতও দেয় দল।
রবিবার রাজধানী ঢাকায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, খালেদার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এখনই চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে তাঁর অঙ্গ অসাড় হয়ে যেতে পারে। এদিন ইসলাম বলেন, “ইদের দিন কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে আত্মীয়রা দেখা করেছেন। তিনি একা হাঁটতে পারছেন না। রাজনৈতিক কারণে বন্দি করে রাখা হয়েছে বেগম জিয়াকে। তাঁর সঙ্গে সরকার অমানবিক আচরণ করছে। নেত্রীর জীবনের মূল্য আমাদের কাছে অনেক বেশি। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করবো।”
চলতি বছরের শেষের দিকেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে দলনেত্রীর এহেন অবস্থায় দিশেহারা বিএনপি। বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে দল। নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের দাবি জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, নির্বাচন নিয়ে আগেই একাধিক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উড়িয়ে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে সরকারই। তারপর থেকেই খালেদার প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছে বিএনপি। উল্লেখ্য, গত মাসেই নাশকতার দু’টি পৃথক মামলায় খালেদার জামিন মঞ্জুর করে হাই কোর্ট। তবে মুক্তি পাচ্ছেন না জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিএনপি নেত্রী। নেত্রীর এহেন বিপাকে কার্যত দিশেহারা বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল। তবে নাশকতা ও দুর্নীতির একাধিক মামলার জেরে আপাতত জেলের বাইরে খালেদার আসা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।