আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। এই
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দেশটির
জাতীয় সংসদে মহিলা সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৬০। তাতে
কারা মনোনয়ন পাবেন সেটা নিয়ে দল ও কর্মীদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দিচ্ছে। জাতীয়
সংসদে আসন সংখ্যা ৩৪২। খবর
ডন।
বিভিন্ন
রাজনৈতিক দল সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের জন্য প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। কিন্তু
যারা প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী তাদের নাম তালিকায় খুব কমই পাওয়া যায়। যেসব
নেতারা এই তালিকা প্রস্তুত করেন তাদের হাতেই দলের পুরো ক্ষমতা সংরক্ষিত।
সম্প্রতি
দেশটিতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী বা রাজনৈতিক পরিবার থেকে সংরক্ষিত আসনের জন্য মহিলা প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে দলের মধ্যেই প্রতিবাদ উঠতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের
প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলই সংবিধানের ২৫ ধারায় সংরক্ষিত নারীদের জন্য সমান অধিকারের কথা বলে থাকেন। তারা
বলে থাকেন নাগরিকদের জন্য সমান অধিকার সমুন্নত থাকবে। তারপরেও
তাদের আচরণে বৈষম্যটা নজরে চলে আসে। বিশেষ
করে নির্বাচনের সময় এই বৈষম্য বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন
মনে হয় নারীদের সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলো যা বলে থাকে, তার সবই যেন কথার কথা।
উল্লেখ্য,
এ বছর পাকিস্তানে অতীতের নির্বাচনের চাইতে অনেক বেশি নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৭
সালের ইলেকশনস অ্যাক্টে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে, জাতীয় সংসদ ও প্রাদেশিক নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ আসন নারীদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে বরাদ্দ রাখতে হবে।