দশমিনা প্রতিনিধি:
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রশাসন কর্তৃক পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদর দশমিনা-আরজবেগী খালের বাধ কাটায় শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জানা যায়, সম্প্রতি দশমিনা-আরজবেগী খালে সৈয়দ জাফর-আউলিয়াপুর সংলগ্নে স্লুইজ গেট নির্মাণ করা হয়। স্লুইজ গেট নির্মাণের সময় উপজেলা সদর দশমিনা বাজার সংলগ্নে বাধ দেয়া হয়। ওই বাধটি আর কাটা হয়নি। ফলে শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের পানির অভাবে বিভিন্ন প্রকার ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় বীজতলা নষ্টসহ রোপা আমনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। যেখানে ফি বছর কৃষকের লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মূখীন হয়, সেখানে একটি চক্র বাধকে পুজি করে ভূমি অফিস থেকে মাছ চাষের জন্য ওই অফিসের সার্ভেয়ার ইকবালের নের্তৃত্বে প্রভাবশালীরা খালটি বন্দোবস্ত করিয়ে নেয়। দশমিনা, উত্তর লক্ষ্মীপুর, পশ্চিম লক্ষ্মীপুর, পূর্ব লক্ষ্মীপুর, আরজবেগী ও সৈয়দ জাফর গ্রামসহ ৬টি গ্রামের শত শত মানুষের আন্দোলনের মূখে জেলা প্রশাসক কর্তৃক লিজ বাতিল করা হলেও বাধটি কাটা হয়নি। গত বছরের ১৩ মে বাধ কাটার জন্য কৃষকরা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি (বেলা) এর রিট পিটিশনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালত জলাবদ্ধতা নিরাসনে দেশের সকল খাল অবমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজহারুল ইসলাম জানায়। ওই নির্দেশ পাওয়ায় কৃষকদের দাবীকৃত খাল অবমুক্ত করণে কোন বাধা নেই বলে গতকাল বৃহস্পতিবার দশমিনা-আরজবেগী খাল ও তার ৫টি সংযোগ খালের বাধ কাটা হয়েছে। বাধ কাটার সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও উপস্থিত ছিলেন।
 
 
Top