মৌসুমী বৃষ্টি ও জেয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ২৬ গ্রাম ও
২২টি ছোট-বড় চরে প্লাবন দেখা দিয়েছে। প্লাবিত এলাকার বসতিদের চলছে খাদ্য
সংকট।
ভুক্তভোগী, স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লঘুচাপের প্রভাবে অতি
বৃষ্টির পানি জমে উপজেলার রণগোপালদি ইউনিয়নের যৌতা, আউলিয়াপুর, উত্তর
রণগোপালদি, গুলি, আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুরা, বেতাগী-সানকিপুর
ইউনিয়নের বেতাগী, নিজহাওলা, জাফ্রাবাদ, মাছুয়াখালী, গোপালদী, দশমিনা
ইউনিয়নের গোলখালী, হাজি কান্দা, দশমিনা, কাঁটাখালী, আরজবেগী, লক্ষ্মীপুর,
নিজাবাদ, বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর, আমতলা, নেহালগঞ্জ, বগুড়া, বাঁশবাড়িয়া
ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া, গছানী, দক্ষিণ দাসপাড়া, আমবাড়িয়া,
চরহোসনাবাদসহ ২৬টি গ্রামে প্লাবন দেখা দিয়েছে। অপরিকল্পিত রাস্তা
নির্মাণ, পানি অপসারণ মাধ্যম খালে বাঁধ-বন্দোবস্তদেয়াসহ কৃত্রিম সৃষ্ট
কারণে এসব গ্রামে প্লাবনের শিকার বলে স্থানীয়রা জানান। চলমান বর্ষায়
ক্ষেতে পানি জমে থাকায় মজুরদের কর্মবিরতি চলছে। নি¤œ আয়ের এসব পরিবারে
প্রায় ২০ হাজার ইতিমধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানান।
এদিকে, উপজেলার পূর্ব কূল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদে
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রণগোপালদী
ইউনিয়নের চর শাহজালাল, চর বোরহান, কালীর চর, ধলা চর, বাডার চর, ভোলাইশিং,
চর তৈলক্ষ্য, কালির চর, চর ঘুনি, পাতার চর, দশমিনা ইউনিয়নের চর হাদী, লাল
চর, চর ভুপেন্দ্র, চর চঙ্গা, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর বাঁশবাড়িয়া, চর
বুথাম, চর হায়দর, চর আজমাইন, চর ফাতেমা, ঢনঢনিয়া, চর ছামাদ, পঁচার চরসহ
২২টি ছোট বড় চরের বসতিরা পানি বন্দি হয়ে পরেছে। বন্যা নিয়ন্ত্র বাঁধ না
থাকায় এসব চরাঞ্চল নিয়মিত জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে বলে
সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন। এসব চরাঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার বসতি রয়েছে।
এ
বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পানি
বন্দি মানুষের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনে জানিয়েছে। উপজেলা পরিষদের
সভায় ভিজিডি, ভিজিএফসহ অতিদরিদ্রদের জন্য সরকারি সাহায্য বিতরণের জন্য
ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।