বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।ম্যাচের অবস্থা ১-১।৮৫ মিনিট শেষ।কী হবে?বিদায়
নিতে হবে আর্জেন্টিনাকে?এই অবস্থায় যিনি জয়সূচক গোলটি করলেন, তিনি মার্কোস
রোহো। অসাধারণ সাইড ভলিতে চলন্ত বলেই দুর্দান্ত গোল। মেসি এসে লাফিয়ে উঠে
পড়লেন রোহোর ঘাড়ে। একে একে এর পর ঝাঁপিয়ে পড়লেন দলের সবাই।
গোল করে নায়ক বনে যান রোহো। তারপরেও রোহোর মুখে সেই মেসিরই কথা।
বললেন, ‘লিও আমাদের বলেছিল, ও মাঠে নেমে গোল করবেই। ও কথা রেখেছে। আমাদের
ওকে দরকার। এবার আমাদের আসল বিশ্বকাপ শুরু ।’
আর নিজের অবিশ্বাস্য গোলটি? যা দেখার পর পুরো গ্যালারিতে যেন বিস্ফোরণ
ঘটল। আর্জেন্টিনীয় সমর্থকেরা কেঁদে ফেললেন। খুলে ফেললেন জামাকাপড়। খুশির
কান্না দেখা গেল গ্যালারির সর্বত্র। ভিআইপি বক্সে তিনি, দিয়েগো
ম্যারাডোনা, তাঁর চোখেও জল! রোহোকে গোল নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর
প্রতিক্রিয়া, ‘এই গোলটা আমার পরিবার এবং আমাদের দলকেই উৎসর্গ করছি। এগিয়ে
চলো আর্জেন্টিনা।’
রোহো শেষ মুহূর্তের নায়ক। আর আর্জেন্টিনার যিনি সেরা তারকা, যাঁর দিকে
তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব, সেই মেসি বললেন, ‘আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা ছিল।
জিততেই নেমেছিলাম মাঠে। আর এ ভাবে জিততে পেরে আনন্দটা একটু বেশিই হচ্ছে।’
যোগ করেন ‘জানতাম, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন। আর উনি আমাদের বিশ্বকাপ
থেকে বিতাড়িত করে দেবেন না।আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় দলের
জার্সি সব কিছুর ঊর্দ্ধে।’
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/ডিএইচ)