নিজস্ব সংবাদদাতা ফুলতলা(খুলনা)।। ফুলতলা উপজেলার জামিরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মারুফুল কবিরের বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শংকরী ঢালী প্রতিকার চেয়ে মৎস্য প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ চন্দ্রের কাছে আবেদন করলে গতকাল শনিবার ফুলতলা রি ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ বোর্ডে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। তক্ষনিক ভাবে প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত  অধ্যক্ষ শিক্ষককে ডেকে তীব্র ভৎসনা করেন এবং ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
অভিযোগের জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার রানাগাতি গ্রামের তপন ঢালীর স্ত্রী শংকরী ঢালীকে জামিরা স্কুল এন্ড কলেজে চাকুরী দেওয়া কথা বলে রি ইউনিয়ন স্কুলের ভকেশনাল বিভাগের শিক্ষক শফিকুল আলম মির্জার প্রত্যক্ষ কারসাজিতে এবং মন্ত্রীকে টাকা দিতে হবে বলে প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার পরে ১০ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয় এবং আরো বলেন, রি ইউনিয়ন স্কুলের আয়া খায়রুন নেছার চাকুরী আর মাত্র মাস আছে। তার চাকুরী শেষ হলে স্কুলের নিয়োগ দেওয়া হবে। আপাতত জামিরা স্কুল এন্ড কলেজের পদ শূন্য থাকায় সেখানে চাকুরী করতে থাকার কথা বলে। তাদের প্রতিশ্রতি অনুযায়ী সে ২০১৩ সাল থেকে  জামিরা স্কুলে আলপনা ছন্দ নাম ব্যবহার করে চাকুরী করে আসছে।  শুধু তাই নয় আলপনা ছদ্মনামে এস.এস.সি পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব তাকে দিয়ে পালন করানো হয়। দুই বছর যাবৎ জামিরা স্কুল এন্ড কলেজের দায়িত্ব পালন করলেও তাকে কোন বেতনাদি বা সম্মানী দেওয়া হয় নাই। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, শংকরী ঢালী ৮ম শ্রেণী পাশ। অথচ তাকে এইচ.এস.সি পাসের ভুয়া সনদপত্র দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে  চাকুরী দেওয়া হয়। অবশেষে শংকরী ঢালী ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন।
অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য  মৎস্য প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ চন্দের কাছে জানতে চাইতে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। ছাড়াও ফুলতলা রি ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফুল্ল কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। অপর দিকে জামিরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মারুফুল কবিরের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স¤পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে।
 
Top